Swami Vivekananda Complete BENGALI

তিড়ৎশিেক এখন আমরা কবল ায়ুমেলর মধ িদয়াই বািহত কিরেত পাির। িক ায়ুমলীর সাহায না লইয়াই বা কন
ইহা বািহত কিরেত সমথ হইব না? যাগী বেলন, ইহা খুবই সব এবং ইহা কােয পিরণত করা যাইেত পাের। আর ইহােত
কৃ তকায হইেল তু িম সম জগেত এই শি েয়াগ কিরেত সমথ হইেব। তখন তু িম কান ায়ুযের সাহায না লইয়াই
যখােন ইা য-কান শরীেরর ারা কায কিরেত পািরেব। যখন কান জীবাা এই ায়ুণালীর িভতর িদয়া কাজ কের, আমরা
তখন বিল মানুষিট জীিবত, এবং যখন এই য‌িলর ারা কাজ হয় না, তখন বিল মানুষিট মৃত। িক যখন কহ এই-সকল
ায়ুযের সাহােয বা ায়ু বতীতই কাজ কিরেত পােরন, তঁাহার পে জ ও মৃতু —এই দুই শের আর কান অথই নাই।
জগেত সব শরীরই তা ারা রিচত, েভদ কবল িবনােসর ণালীেত। যিদ তু িমই ঐ িবনােসর কতা হও, তাহা হইেল তু িম
যেপ ইা, ঐ তা‌িলর িবনাস কিরয়া শরীর রচনা কিরেত পার। এই শরীর—তু িম ছাড়া আর ক িনমাণ কিরয়ােছ?
আহার কের ক? যিদ আর একজন তামার হইয়া আহার কিরয়া িদত, তেব তামােক আর বশী িদন বঁািচেত হইত না। ঐ খাদ
হইেত রই বা উৎপাদন কের ক? িনয় তু িম। ঐ র িব‌ কিরয়া ধমনীর মেধ বািহত কিরেতেছ ক? তু িমই। আমরাই
দেহর ভু এবং উহােত বাস কিরেতিছ। দহ িকভােব আবার তণ কিরয়া তালা যায়, সই ান আমরা হারাইয়া ফিলয়ািছ।
আমরা যতু ল য়ংিয়—অধনত হইয়া পিড়য়ািছ। আমরা দেহর পরমাণু‌িলর িবনাসণালী ভু িলয়া িগয়ািছ। সুতরাং এখন
আমরা যের মত যাহা কিরেতিছ, তাহা াতসাের কিরেত হইেব। আমরাই দেহর ভু , সুতরাং আমািদগেকই সই
িবনাসণালী িনয়িমত কিরেত হইেব। ইহােত কৃ তকায হইেলই আমরা ইামত দহেক আবার তণ কিরয়া তু িলেত সমথ
হইব; তখন আমােদর জ, বািধ, মৃতু —িকছুই থািকেব না।
সিত মূেল তিপােকা জাতায়ুেভাগাঃ ॥১৩॥
মেন এই সংারপ মূল থাকায় তাহার ফলপ মনুষািদ জািত, িভ িভ পরমায়ু ও সুখদুঃখািদ ভাগ হয়।
মূল অথাৎ সংারপ কারণ‌িল িভতের থােক, তাহারাই বভাব ধারণ কিরয়া ফলেপ পিরণত হয়। কারেণর নাশ হইয়া
কােযর উদয় হয়, আবার কায সূভাব ধারণ কিরয়া পরবতী কােযর কারণপ হয়। বৃ বীজ সব কের, বীজ আবার পরবতী
বৃের উৎপির কারণ হয়; এইেপই কাযকারণবাহ চিলেত থােক। আমােদর এখানকার কাজকম সবই পূবসংােরর
ফলপ। এই কায‌িল আবার সংাের পিরণত হইয়া ভিবষৎ কােযর কারণ হইেব; এই ভােবই চিলেত থােক। এইজনই এই
সূ বিলেতেছ, কারণ থািকেল তাহার ফল বা কায অবশই হইেব। এই ফল থমতঃ ‘জািত’েপ কাশ পায়; কহ বা মানুষ
হইেব, কহ দবতা, কহ প‌, কহ বা অসুর হইেব। তারপর এই কম আবার আয়ুেকও িনয়িমত কের। একজন হয়েতা পাশ
বৎসর বঁােচ, আর একজন একশত বৎসর, আবার কহ হয়েতা দুই বৎসর বয়েসই মিরয়া যায়; স আর পূণবয় হয় না।
জীবেনর এই-সব িবিভতা পূবকমারাই িনয়িমত হয়। কহ যন সুখেভােগর জনই জহণ কিরয়ােছ; যিদ স বেন িগয়া
লুকাইয়া থােক, সুখ তাহােক অনুসরণ কিরেব। আর একজন যখােনই যায়, দুঃখ তাহােক অনুসরণ কের, সবই তাহার িনকট
দুঃখময়। এই-সবই তাহােদর িনজ িনজ পূবকেমর ফল। যাগীিদেগর মেত পুণকম হইেত সুখ, পাপকম হইেত দুঃখ উৎপ
হয়। য বি অসৎ কাজ কের, স িনয়ই দুঃখকেপ তাহার কৃ তকেমর ফলেভাগ কিরেব।
ত াদপিরতাপফলাঃ পুণাপুণেহতু াৎ ॥১৪॥
পুণ ও পাপ উহােদর কারণ বিলয়া উহােদর ফল যথােম আন ও দুঃখ।
পিরণামতা প-সংারদু ঃৈখ‌ণবৃিিবেরাধা
দু ঃখেমব সবং িবেবিকনঃ ॥১৫॥
িক পিরণাম-কােল, িক ভাগ-কােল ভাগ-বাঘােতর আশায় অথবা সুখ-সংারজিনত নূতন তৃ া উৎপ হয় বিলয়া এবং
‌ণবৃি (অথাৎ স, রজঃ, তমঃ) পরেরর িবেরাধী বিলয়া িবেবকীর িনকট সবই যন দুঃখ বিলয়া বাধ হয়।
যাগীরা বেলন, যঁাহার িবেবকশি আেছ, যঁাহার একটু িভতেরর িদেক দৃি আেছ, িতিন সুখ ও দুঃখ নামেধয় সবিবধ বর
অল পয দিখয়া থােকন, আর জািনেত পােরন উহারা সবদা সব সমভােব রিহয়ােছ। একিটর সে আর একিট যন
জড়াইয়া, একিট যন আর একিটেত িমিশয়া আেছ। সই িবেবকী পুষ দিখেত পান য, মানুষ সম জীবন কবল এক
আেলয়ার অনুসরণ কিরেতেছ; স কখনই তাহার বাসনাপূরেণ সমথ হয় না। এক সমেয় মহারাজ যুিধির বিলয়ােছন, ‘জীবেন
সবােপা আয ঘটনা এই য, িত মুহূেতই ািণগণেক মৃতু মুেখ পিতত হইেত দিখয়াও মেন কিরেতিছ, আমরা কখনই
মিরব না।’ ১১ চতু িদেক মূখারা পিরেবিত হইয়া মেন কিরেতিছ, ‌ধু আমরাই পিত—‌ধু আমরাই মূখেণী হইেত ত।
সবকার চলতার অিভতা ারা বিত হইয়া আমরা মেন কিরেতিছ, আমােদর ভালবাসাই একমা ায়ী ভালবাসা। ইহা িক
কিরয়া হইেত পাের? ভালবাসাও াথপরতা-িমিত। যাগী বেলন, ‘পিরণােম দিখেত পাইেব, এমন িক পিতপীর ম,
সােনর িত ভালবাসা, বু েদর ীিত—সবই অে অে ীণ হইয়া আেস।’ এই সংসাের য় েতক বেকই আমণ
কিরয়া থােক। যখনই সংসােরর সকল বাসনা, এমন িক ভালবাসা পয িবফল হয়, তখনই যন চিকেতর নায় মানুষ বুিঝেত
পাের এই জগৎ িকভােব বথ, কতখািন সদৃশ! তখনই তাহার চােখ বরােগর িণক আেলা দখা দয়, তখনই স অতীিয়
সার যন একটু আভাস পায়। এই জগৎেক তাগ কিরেলই জগদতীত তিট দেয় উািসত হয়; এই জগেতর সুেখ আস
থািকেল ইহা কখনও সব হইেত পাের না। এমন কান মহাা জহণ কেরন নাই, যঁাহােক এই উাবা লােভর জন
ইিয়সুখেভাগ তাগ কিরেত হয় নাই। কৃ িতর িবিভ শি‌িলর পরর িবেরাধই দুঃেখর কারণ। একিট মানুষেক একিদেক
150