Swami Vivekananda Complete BENGALI

যাগীেদর মেধ কহ কহ দাবী কেরন য, এই শরীর তরল বা ইতািদেত পিরণত হইেব। তু িম শরীর ারা যাহা খুশী কিরেত
পািরেব—ইহােক ছাট কিরেত পার, এমন িক বােও পিরণত কিরেত পার, এই দওয়ােলর মধ িদয়া যাতায়াতও সব হইেত
পাের—এই রকম তঁাহারা দাবী কেরন। আমার অবশ তাহা জানা নাই। আিম কখনও কাহােকও এপ কিরেত দিখ নাই। িক
যাগশাে এই-সব কথা আেছ। যাগশা‌িলেক অিবাস কিরবার কান হতু নাই।
হয়েতা আমােদর মেধ কহ কহ এই জীবেন ইহা সাধন কিরেত সমথ হইেবন। আমােদর পূবকৃ ত কেমর ফেল িবদুৎভার
নায় ইহা িতভাত হয়। ক জােন এখােনই হয়েতা কান াচীন যাগী রিহয়ােছন, যঁাহার মেধ সাধনা সূণ কিরবার সামানই
একটু বাকী। অভাস!
একিট িচাধারার মাধেম ধােন পঁৗিছেত হয়। ভূ তপেকর ‌ীকরণ-িয়ার মধ িদয়া যাইেত হয়—এক-একিটেক
অপরিটর মেধ বীভূ ত কিরয়া ূল হইেত পরবতী সূে, সূতের, তাহাও আবার মেন, মনেক পিরেশেষ আায় িমশাইয়া
িদেত হয়। তখন তামরাই আপ।*
জীবাা সদামু, সবশিমা, সব। অবশ জীবাা ঈরাধীন। ঈর অেনক হইেত পােরন না। এই মুাাগণ িবপুল শির
আধার, ায় সবশিমা, (িক) কহই ঈরতু ল শিমা হইেত পােরন না। যিদ কান মু পুষ বেলন, ‘আিম এই
হিটেক কচু ত কিরয়া ইহােক এই পথ িদয়া পিরমণ কিরেত বাধ কিরব’ এবং আর একজন মুাা যিদ বেলন, ‘আিম
হিটেক এই পেথ নয়, ঐ পেথ চালাইব’ (তেব িবশৃলারই সৃি হইেব)।
তামরা যন এই ভু ল কিরও না। আিম য ইংেরজীেত বিল, ‘আিম ঈর (God)’, তাহার কারণ ইহা অেপা আর কান
যাগতর শ নাই। সংৃ েত ‘ঈর’ মােন সিদান, ান—য়ংকাশ অন চতন। ঈর অেথ কান পির
বিিবেশষ নয়। িতিন নবিক ভূ মা। ...
আিম কখনও রাম নই, ঈেরর (ঈেরর সাকার ভােবর) সিহত কখনও এক নই, িক আিম (ের সিহত—নবিক সব-
িবরাজমান সার সিহত) এক। এখােন একতাল কাদা রিহয়ােছ। এই কাদা িদয়া আিম একিট ছাট ইঁদুর তরী কিরলাম আর
তু িম একিট ু কায় হাতী ত কিরেল। দুই-ই কাদার। দুইিটেকই ভািঙয়া ফল। তাহারা মূলতঃ এক—তাই একই মৃিকায়
পিরণত হইল। ‘আিম এবং আমার িপতা এক।’ (িক মািটর ইঁদুর আর মািটর হাতী কখনই এক হইেত পাের না।)
কান জায়গায় আমােক থািমেত হয়, আমার ান অ। তু িম হয়েতা আমার চেয় িকছু বশী ানী, তু িমও একােন থািময়া
যাও। আবার এক আা আেছন, িযিন সবে। িতিনই ঈর, যাগাধীশ (ােপ স‌ণ ঈর)। তখন িতিন সবশিমা
‘বি’। সকল জীেবর দেয় িতিন বাস কেরন। তঁাহার শরীর নাই—শরীেরর েয়াজন হয় না। ধােনর অভাস ভৃ িত ারা
যাহা িকছু আয় কিরেত পার, যাগী ঈেরর ধান কিরয়াও তাহা লভ। একই ব আবার কান মহাপুষেক, অথবা জীবেনর
ঐকতানেক ধান কিরয়াও লাভ করা যায়। এ‌িলেক িবষয়গত ধান বেল। সুতরাং এইভােব কেয়কিট বাহ বা িবষয়গত ব
লইয়া ধান আর কিরেত হয়। ব‌িল বািহেরও হইেত পাের, িভতেরও হইেত পাের। যিদ তু িম একিট দীঘ বাক হণ কর,
তেব তাহা মােটই ধান কিরেত পািরেব না। ধান মােন পুনঃপুনঃ িচা কিরয়া মনেক ধয় বেত িনিব করার চা। মন
সকল িচাতর থামাইয়া দয় এবং জগৎও থােক না। ােনর পিরিধ িবৃ ত হয়। িতবােরই ধােনর ারা তামার শি বৃি
হইেব। ... আরও একটু বশী কেঠার পিরম কর—ধান গভীরতর হইেব। তখন তামার শরীেরর বা অন িকছুর বাধ থািকেব
না। এইভােব একঘা ধানম থাকার পর বাহ অবায় িফিরয়া আিসেল তামার মেন হইেব য, ঐ সময়টু কু েত তু িম জীবেন
সবােপা সুর শাি উপেভাগ কিরয়াছ। ধানই তামার শরীরযিটেক িবাম িদবার একমা উপায়। গভীরতম িনােতও
ঐপ িবাম পাইেত পার না। গভীরতম িনােতও মন লাফাইেত থােক। িক (ধােনর) ঐ কেয়কিট িমিনেট তামার মিের
িয়া ায় হইয়া যায়। ‌ধু একটু াণশি মা থােক। শরীেরর ান থােক না। তামােক কািটয়া টু করা টু করা কিরয়া
ফিলেলও তু িম টর পাইেব না। ধােন এতই আন পাইেব য, তু িম অত হালকা বাধ কিরেব। ধােন আমরা এইপ পূণ
িবাম লাভ কিরয়া থািক।
তারপর িবিভ বর উপের ধান। মমার িবিভ কে ধােনর ণালী আেছ। (যািগগেণর মেত মদের মেধ ইড়া ও
িপলা নামক দুইিট ায়বীয় শিবাহ বতমান। অমুখী ও বিহমুখী শিবাহ এই দুই ধান পেথ গমনাগমন কের।)
শূননালী (যাহােক বেল সুষুা) মদের মধ িদয়া চিলয়া িগয়ােছ। যাগীরা বেলন, এই সুষুা-পথ সাধারণতঃ থােক,
িক ধানাভােসর ফেল ইহা উু হয়, (ায়বীয়) াণশিবাহেক (মদের নীেচ) চালাইয়া িদেত পািরেলই কু িলনী
জাগিরত হয়। জগৎ তখন িভপ ধারণ কের। ... (এইেপ ঐিরক ান, অতীিয় অনুভূ িত ও আান লাভ কিরবার
একমা উপায় হইেতেছ কু িলনীর জাগরণ।)
সহ সহ দবতা তামার চািরিদেক দঁাড়াইয়া রিহয়ােছন। তু িম তঁাহািদগেক দিখেত পাইেতছ না, কারণ তামার জগৎ
ইিয়াহ। আমরা কবল এই বািহরটাই দিখেত পাির; ইহােক বলা যাক ‘ক’। আমােদর মানিসক অবা অনুযায়ী আমরা সই
‘ক’-ক দিখ বা উপলি কির। বািহের অবিত ঐ গাছিটেক ধরা যাক। একিট চার আিসল, স ঐ মুড়া গাছিটেক িক ভািবেব?
স দিখেব—একজন পাহারাওয়ালা দঁাড়াইয়া আেছ। িশ‌ উহােক মেন কিরল—একটা কা ভূ ত। একিট যুবক তাহার
িমকার জন অেপা কিরেতিছল; স িক দিখল? িনয়ই তাহার িয়তমােক। িক এই াণু বা মুড়া গাছিটর তা কান
পিরবতন হয় নাই। ইহা যপ িছল, সইপই রিহল। য়ং ঈরই কবল আেছন, আমরাই আমােদর িনবুিতার জন তঁাহােক
মানুষ, ধূিল, বাবা, দুঃখী ইতািদ-েপ দিখয়া থািক।
586