Swami Vivekananda Complete BENGALI

অন হইেব। এইবার িহুদশেনর চূ ড়া িবচার আিসল। ‘অন’ কখনও দুইিট হইেত পাের না। যিদ আা অন হয়, তেব
একিট মা আাই থািকেত পাের, আর এই য অেনক আা বিলয়া িবিভ ধারণা রিহয়ােছ—তামার এক আা, আমার আর
এক আা—ইহা সত নেহ।
অতএব মানুেষর কৃ ত প সই এক অন ও সববাপী, আর এই বাবহািরক জীব মানুেষর কৃ ত েপর সীমাব
ভাবমা। এই িহসােব পূেবা পৗরািণক ত‌িলও সত হইেত পাের য, বাবহািরক জীব যত বড় হউন না কন, িতিন মানুেষর
ঐ অতীিয় কৃ ত েপর অু ট িতিবমা। অতএব মানুেষর কৃ ত প ‘আা’—কাযকারেণর অতীত বিলয়া,
দশকােলর অতীত বিলয়া অবশই মুভাব। িতিন কখনও ব িছেলন না, তঁাহােক ব কিরবার শি কাহারও নাই। এই
বাবহািরক জীব, এই িতিব দশকালিনিমের ারা সীমাব, সুতরাং িতিন ব। অথবা আমােদর কান কান দাশিনেকর
ভাষায় বিলেত গেল বিলেত হয়, ‘বাধ হয়—িতিন যন ব হইয়া রিহয়ােছন, িক বািবক িতিন ব নন।’ আমােদর আার
িভতের যথাথ সত এইটু কু —এই সববাপী অন চতনভাব; উহাই আমােদর ভাব—চা কিরয়া আর আমািদগেক এপ
হইেত হয় না। েতক আাই অন, সুতরাং জমৃতু র আিসেত পাের না। কতক‌িল বালক-বািলকা পরীা িদেতিছল।
পরীক কিঠন কিঠন কিরেতিছেলন, তাহার মেধ এই িট িছল—‘পৃিথবী কন পিড়য়া যায় না?’ িতিন মহাকেষর িনয়ম
ভৃ িত উর আশা কিরেতিছেলন! অিধকাংশ বালক-বািলকাই কান উর িদেত পািরল না। কহ কহ মাধাকষণ বা আর িকছু
উর িদল। তাহােদর মেধ একিট বুিমতী বািলকা আর একিট কিরয়া ঐ ের উর িদল—‘কাথায় উহা পিড়েব?’ এই
ই য ভু ল। পৃিথবী পিড়েব কাথায়? পৃিথবীর পে পতন বা উান িকছুই নাই। অন দেশর উঁচু -নীচু বিলয়া িকছুই নাই;
উহা কবল আেপিক। অন কাথায়ই বা যাইেব, কাথা হইেতই বা আিসেব?
যখন মানুষ অতীত-ভিবষেতর িচা তাগ কিরেত পাের, যখন স দহেক সীমাব—সুতরাং উৎপি-িবনাশশীল—জািনয়া
দহািভমান তাগ কিরেত পাের, তখনই স এক উতর অবায় উপনীত হয়। দহ আা নয়, মনও আা নয়, কারণ উহােদর
াসবৃি আেছ। জড় জগেতর অতীত আাই অনকাল ধিরয়া থািকেত পােরন। শরীর ও মন িতিনয়ত পিরবতনশীল—
এ‌িল পিরবতনশীল ঘটনা-ণীর নামমা; নদীর েতক জলিবুই িনয়ত-পিরবতনশীল বােহর অগত; তথািপ আমরা
দিখেতিছ, উহা সই একই নদী। এই দেহর েতক পরমাণুই িনয়ত পিরবতনশীল; কান বির শরীরই কেয়ক মুহূেতর
জনও একইপ থােক না। তথািপ মেনর এককার সংারবশতঃ আমরা উহােক সই এক শরীর বিলয়াই মেন কির। মন
সেও এইপ; উহা েণ সুখী, েণ দুঃখী, েণ সবল, েণ দুবল। িনয়ত-পিরবতনশীল ঘূিণিবেশষ। সুতরাং উহাও আা
হইেত পাের না, আা অন। পিরবতন কবল সসীম বেতই সব। অনের কানপ পিরবতন হওয়া—অসব কথা। তাহা
কখনও হইেত পাের না। শরীর-িহসােব তু িম আিম একান হইেত ানাের যাইেত পাির, জগেতর েতক অণুপরমাণুই সদা-
পিরবতনশীল; িক জগৎেক সমিেপ ধিরেল উহােত গিত বা পিরবতন অসব। গিত সবই আেপিক। তু িম বা আিম যখন
এক ান হইেত অন ােন যাই, তাহা অপর একিট ির বর সিহত তু লনায় বুিঝেত হইেব; জগেতর কান পরমাণু অপর
একিট পরমাণুর সিহত তু লনায় পিরবিতত হইেত পাের, িক সমুদয় জগৎেক সমিভােব ধিরেল কাহার সিহত তু লনায় উহা ান
পিরবতন কিরেব? ঐ সমির অিতির তা আর িকছু নাই। অতএব এই অন ‘একেমবািতীয়ম​◌্’ অপিরণামী অচল ও পূণ,
উহাই পারমািথক সা—মানুেষর যথাথ প। সুতরাং সববাপী অনই সত, সা সসীম সত নয়। আমরা ু সীমাব জীব
—এই ধারণািট যতই আরামদ হউক না কন, ইহা পুরাতন ম মা। যিদ লাকেক বলা যায়, তু িম সববাপী অন-পুষ, স
ভয় পায়। সকেলর িভতর িদয়া তু িম কাজ কিরেতছ, সকেলর চরেণর ারা তু িম চিলেতছ, সকল মুেখর ারা তু িম কথা কিহেতছ,
সকল নািসকা ারাই তু িম াসাস-কায িনবাহ কিরেতছ—লাকেক ইহা বিলেল স ভয় পায়। স তামায় পুনঃপুনঃ িজাসা
কিরেব, ‘আমার এই আিম বজায় থািকেব িকনা?’ লােকর এই ‘আিম’ কা​িট—তাহা দিখেত চাই।
ছাট িশ‌র গঁাফ নাই, বড় হইেল তাহার গঁাফ-দািড় হয়। যিদ ‘আিম’ শরীরগত হয়, তেব তা বালেকর ‘আিম’ ন হইয়া
গল। যিদ ‘আিম’ শরীরগত হয়, তেব আমার একিট চাখ বা হাত ন হইেল ‘আিম’ও ন হইয়া গল। মাতােলর মদ ছাড়া
উিচত নয়, তাহা হইেল তাহার ‘আিম’ যাইেব! চােরর সাধু হওয়া উিচত নয়, তাহা হইেল স তাহার ‘আিম’ হারাইেব!
অতএব কাহারও এই ভেয় িনজ অভাস তাগ করা উিচত নয়। অন বতীত আর ‘আিম’ িকছুেতই নাই। এই অনেরই
কবল পিরবতন হয় না, আর সবই মাগত পিরবতনশীল। ‘আিম’ ৃিতেতও নাই। ‘আিম’ যিদ ৃিতেত থািকত, তেব
মেক বল আঘাত পাইয়া অতীত ৃিত লু হইয়া গেল আমার ‘আিম’ ন হইত, আিম এেকবাের লাপ পাইতাম!
ছেলেবলায় দুই-িতন বৎসর আমার মেন নাই; যিদ ৃিতর উপর আমার অি িনভর কের, তাহা হইেল ঐ দুই-িতন বৎসর
আমার অি িছল না—বিলেতই হইেব। তাহা হইেল আমার জীবেনর য-অংশ আমার মেন নাই, সই সমেয় আিম জীিবত
িছলাম না, বিলেত হইেব।
ইহা অবশ ‘আিম’-সে খুব সীণ ধারণা। আমরা এখনও ‘আিম’ নিহ! আমরা এই ‘আিম’—কৃ ত বি লােভর চা
কিরেতিছ, উহা অন; উহাই মানুেষর কৃ ত প। যাহার জীবন িববাপী, িতিনই জীিবত; আর যতই আমরা আমােদর
জীবনেক শরীরপ ু ু সীমাব পদােথ কীভূ ত কির, ততই আমরা মৃতু র িদেক অসর হই। আমােদর জীবন যতণ
সম জগেত বা থােক, যতণ উহা অপেরর মেধ বা থােক, ততণই আমরা জীিবত, আর এই ু সীণ জীবনযাপনই
মৃতু এবং এইজনই আমােদর মৃতু ভয় দখা দয়। মৃতু ভয় তখনই জয় করা যাইেত পাের, যখন মানুষ উপলি কের য,
যতিদন এই জগেত একিট জীবনও রিহয়ােছ, ততিদন সও জীিবত। এপ উপলি হইেল মানুষ বিলেত পােরঃ ‘আিম সকল
বেত, সকল দেহ বতমান; সকল জীেবর মেধই আিম বতমান। আিমই এই জগৎ, সমুদয় জগৎই আমার শরীর! যতিদন
একিট পরমাণু রিহয়ােছ, ততিদন আমার মৃতু র সাবনা িক?’ এইভােবই মানুষ িনভীক অবায় উপনীত হয়। িনয়ত-
পিরবতনশীল ু ু বর মেধ অমর আেছ, এ-কথা বলা বাতু লতা। একজন াচীন ভারতীয় দাশিনক বিলয়ােছনঃ আা
197